আগামী 30 শে জুন থেকে রাজ্যে চালু হতে চলেছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া । স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে 10 লাখ টাকা পর্যন্ত এডুকেশন লোন অর্থাৎ শিক্ষাঋণ নিতে পারবে ছাত্রছাত্রী ও বেকাররা। আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে এবং কি কি শর্ত রয়েছে।
গতকাল একটি সাংবাদিক বৈঠকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজ্যে 30 শে জুন থেকে আবেদন করা যাবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের (Student Credit Card) জন্য। এই ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য শর্ত গুলি হল :
1) 10 বছর বা তার বেশি দিন ধরে রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে।
2) মাধ্যমিক থেকে শুরু করে, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডাক্তারি, গবেষণা, ডিপ্লোমা বা ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি সবেতেই মিলবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড।
3) এই ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য বয়সের উর্ধ্বসীমা 40 বছর। অর্থাৎ 40 এর থেকে কম বয়সীরা আবেদন করতে পারবেন।
4) এই ক্রেডিট কার্ডের ক্রেডিট লিমিট 10 লক্ষ টাকা । অর্থাৎ এই কার্ড দিয়ে সর্বাধিক লোন পাওয়া যাবে 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত। পরে চাকরি পেলে টাকা শোধ করে দিতে হবে।
5) এই লোনের মেয়াদ হবে 15 বছর। 15 বছরের মধ্যেই টাকা শোধ করে দিতে হবে।
6) স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের লোনের জন্য কোন গ্যারান্টার লাগবেনা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার হবে এই লোনের গ্যারান্টার।
7) শুধু দেশেই নয় বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রেও পাওয়া যাবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড।
8) চার লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে দিতে হবে না কোন সুদ।
9) চার লাখের বেশি টাকা ঋণের ক্ষেত্রে, বার্ষিক 5% হারে সুদ ধার্য করা হবে
10) স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে 30 শে জুন থেকে।
আরো পড়ুন: এখন আধার কার্ডের মতো, ভোটার কার্ড পাবেন অনলাইনে
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ফর্ম ও অন্যান্য তথ্য পাওয়ার জন্য এই PDF ফাইল টি ডাউনলোড করুন
এর সাথে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন মনে করিয়ে দেন, ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একাধিক প্রকল্প ইতিমধ্যেই রয়েছে। কন্যাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলার্শিপ, শিক্ষাশ্রী ইত্যাদি নানা প্রকল্প। তাঁর কথায়, এবার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের গর্ব, তাদের শিক্ষার জন্য, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য বাবা-মায়ের আর চিন্তা করতে হবে না। ঘরবাড়ি বেচতে হবে না। রাজ্য সরকার তাদের পাশে আছে।
পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রী ও বেকারদের জন্য এটি একটি খুবই ভালো উদ্যোগ। আগে শিক্ষা ঋণ পাওয়ার জন্য বহুবার ব্যাংকে দরবার করেও, অনেকের লোন অনুমোদন হতো না। এখন কিছুটা হলেও সমস্যা মিটবে আশা করছে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা।